নিজস্ব প্রতিবেদক
আধুনিক সময়টা বোধ হয় একসঙ্গে অনেক কাজের। প্রতিদিন একই সময়ে একাধিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় আমাদের। যদিও মানব মস্তিষ্ক এতে সায় দেয় না। ইউনিভার্সিটি অব সারে-এর বিশেষজ্ঞরা জানান, অন্য কাজে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় যদি খাওয়া হয় তবে তা সবচেয়ে ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হতে পারে। এক পরীক্ষায় তিন দল মানুষকে চকোলেট খেতে দেওয়া হয়। প্রথম দলটি টিভি দেখছিল আর খাচ্ছিল। দ্বিতীয় দলের সদস্যরা খাওয়ার কাজটি সারে আলাপচারিতার মধ্য দিয়ে। তৃতীয় দল চকোলেট শেষ করে হাঁটতে হাঁটতে। পরীক্ষার ফলাফলটা হলো, যে দলটি হাঁটা অবস্থায় খাচ্ছিল, তারা অন্যদের চেয়ে পাঁচ গুণ পরিমাণ বেশি চকোলেট সাবাড় করেছে। কাজেই শুধু খাওয়ার জন্য আলাদা সময় রাখতে হবে। স্বাস্থ্যকর উপায়ে খাদ্যগ্রহণের পদ্ধতি শিখিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
১. বসে খান : যত ব্যস্তই থাকুন না কেন, খাবার নিয়ে এক জায়গায় স্থির হয়ে বসুন। এতে করে আপনি খাওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হবেন। দেহ বুঝে নেবে কতটুকু খাবার প্রয়োজন।
২. ধীরে চিবিয়ে খান : হেঁটে, দৌড়ে বা কথা বলতে বলতে যেভাবেই খান না কেন, একে উপভোগ করতে হলে তা ধীরে সারতে হবে। খাদ্যের প্রতিটা দানা মনোযোগ দিয়ে দাঁত দিয়ে পিষে ফেলুন। এটা মোটেও সময় অপচয়ের কাজ নয়। একসময় অভ্যস্ত ও সহজাত হয়ে উঠবেন সহজেই।
৩. স্বাদ উপভোগ করুন : যে খাবারই খান না কেন, তার স্বাদের ভিন্নতা উপভোগের চেষ্টায় ত্রুটি থাকলে চলবে না। আপেলের কচকচে ভাব বোঝার চেষ্টা করুন। মুখের ভেতর আমের কোমলতা অনুভবের পাশাপাশি এর মোহনীয় গন্ধ মিশিয়ে নিন। একেক খাবার চিবিয়ে খেতে একেক ধরনের প্রয়াস চালাতে হবে।
৪. আরামদায়ক খাবার টেবিল : বই-খাতা-কলমে উপচে পড়া টেবিলে খেতে বসবেন না। সম্ভব হলে খালি টেবিলে বসুন যেখানে খাবারের প্লেটটাই মুখ্য বিষয়। কাজের টেবিল এড়িয়ে অন্য কোনো টেবিলে গিয়ে বসুন।
৫. হাসিমুখে খান : হাসতে হাসতে খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে তৃপ্তিকর স্বাদ উপভোগে আপনার চেহারায় সন্তুষ্টির ভাব থাকবে। এই অনুভূতি যদি মুখে আলতো হাসি ফুটিয়ে তোলে তবে তো কথাই নেই। বুঝে নিতে পারেন, আপনি সত্যি সত্যিই স্বাস্থ্যকর উপায়ে সুষ্ঠুভাবে খাদ্য গ্রহণ করছেন।
পাঠকের মতামত